বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আম্ফান ধেয়ে আসায় সুন্দরবন সন্নিহিত উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ৩৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র সন্ধ্যায় খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার উপযোগী পাকা ভবনগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৮৫টি মেডিকেল টিম। একই সাথে জেলা উপজেলায় কন্টোল রুম খুলে পরিস্থিতি সবার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শুকনা খাবার ও পানি। লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে মাইকিং করছে রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। সুন্দরবনের ১০টি স্টেশন ও টহল ফাঁড়ি বন্ধ করে সকল কর্মকর্তা-বনক্ষীদের পার্শ্ববর্তী অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। একই সাথে সুন্দরবনের সকল কর্মকর্তা-বনক্ষীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে বন বিভাগ।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডের পাশাপাশি যুব রেডক্রিসেন্ট-সিপিপিসহ স্বেচ্চাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার জানিয়েছেন, বিকেলে ৭ নম্বার বিপদ সংকেত ঘোষণার পর মোংলা বন্দর
কর্তৃপক্ষ জাহাজে পন্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ১১টি পন্যবাহী জাহাজকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নিদেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।